Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

* ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জরুরী যোগাযোগঃ- মোঃ আব্দুল আলীম, চেয়ারম্যান, মোবাইল- ০১৭১৬-৪২২২৬২, মোঃ আব্দুল আলীম, ইউপি সচিব, মোবাইল- ০১৭১৮ ৭৬৮৬৮৪, মোঃ আনোয়ার হোসেন উদ্যোক্তা, মোবাইল- ০১৩২১-৯৬১০১৮ অথবা ০১৭১৪-৭৭৯০৩৭ ধন্যবাদ...   * খেদাপাড়া ইউনিয়ন ওয়েব পোর্টালের কাজ হালনাগাদ করা হচ্ছে। আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাকে দুংখিত। 



ছবি
শিরোনাম
জাতীয় ফুল শাপলা
বিস্তারিত

বাংলাদেশের জাতীয় ফুল- সাদা শাপলা 

 

বিভিন্ন রঙ ও আকারের শাপলা ফুলের দেখা মিললেও সাদা শাপলাকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। 

 

ফুলের সাধারণ পরিচিতি-

প্রচলিত নাম- শাপলা

ইংরেজী নাম- Water Lily,  White Water Lily, 

বৈজ্ঞানিক নাম- Nymphaea pubescens 

পরিবার- Nymphaeaceae

অন্যান্য নাম- গুলে নিলুফর, থারো আংগৌবা (মনিপুরী), வெள்ளாம்பல் ভেলাম্বাল (তামিল), कुमुद কুমুডা (সংস্কৃত), শালুক (বাংলা), নিরাম্বল (মালয়ালম ভাষা), কান্নাইদিলি (কান্নাদা), নাল (আসামি ভাষা)।

 

শাপলা  জলজ উদ্ভিদ। কান্ড মাটির নিচে থাকে যা শালুক নামে পরিচিত। এর পাতা লম্বা বোঁটাযুক্ত এবং পানির উপর ভাসমান থাকে। কান্ড থেকে লম্বা ডাটা যুক্ত ফুলের কলি বের হয়। লাল শাপলা ও সাদা শাপলা বেশী দেখা যায়। তবে নীল রঙের ভিন্ন প্রজাতির শাপলাও পাওয়া যায়। পাতার গোঁড়ার দিক হৃদপিন্ডাকৃতির এবং পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো। ফলগুলো স্পঞ্জের মত দেখতে এবং ফলের ভিতর অনেকগুলো কোষ। প্রতিটি কোষে সরিষার ন্যায় বীজ থাকে। সাদা শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলার ফল দিয়ে মজাদার খই তৈরি হয়। সাদা শাপলা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও চাষাবাদ - উভয়ভাবেই উৎপাদিত হয়। অম্লক্ষারবিহীন জলেই এটি ভাল জন্মে। তবে ১৫° সেলসিয়াল তাপমাত্রার নীচে এটি জন্মে না। জলজ উদ্ভিদ হিসেবে এটির শিকড়পানিতে কাদার নীচে প্রবেশ করে। শাপলা ফুল সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে। মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। কিছু পাতা পানির নীচে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয় কিন্তু নীচের দিকে কালচে রঙের হয়ে থাকে। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। কাগজের ন্যায় হালকা পাতাগুলোর আকার ১৫ থেকে ২৬ সেন্টিমিটার এবং এদের ব্যাপ্তি প্রায় ০.৯ থেকে ১.৮ মি। ফুলগুলো যখন পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হয়, তখন এর ব্যাস প্রায় ১৫ সে.মি হয়। শাপলা ফুল দিনের বেলায় সঙ্কুচিত হয় এবং রাতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফুঁটে। সাদা শাপলার ভিন্নতাজনিত ও সঙ্করায়ণের ফলে এদের রঙ সাদা থেকে গোলাপী, পটলবর্ণ, বেগুনী, ফিকে লাল হয়ে থাকে।

সাধারণত ফুল ও রাইজোম মানবদেহের বিভিন্ন রোগে যেমন- স্নিগ্ধ কারক, শীতল কারক, পিত্ত প্রশমক, হৃদযন্ত্রের শক্তি কারক ও পিপাসা নিবারক। তাছাড়া প্রসাবের জ্বালা পোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপায় উপকারী। রোগ অনুসারে নিচের পদ্ধতি অবলম্বনে অনেক উপকারে আসবে যেমন-

  • প্রসাবের জ্বালা পোড়া ও পিত্তাধিক্য রোগে শাপলা ফুলের শুকনো অংশ ১০-১৫ গ্রাম পাঁচ গ্রাম ধনিয়া আধা চূর্ণ করে, দুই কাপ পানিতে মিশিয়ে জ্বাল করে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মত চিনি সহ দিনে ২ বার ১৫-২০ দিন খেলে উপকার হবে।
  • হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় ও হৃদকম্পে রোগের জন্য শাপলা ফুল ১০ গ্রাম, সাথে পাঁচ গ্রাম গোলাপ ফুল মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে জ্বাল করে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মত চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার এভাবে ১ মাস নিয়মিত খেলে বিশেষ উপকারে আসবে।
  • পিপাসা নিবারনের জন্য শাপলা ফুলের শুকনো অংশ ১০-১২ গ্রাম এক কাপ পানিতে জ্বাল করে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মত চিনি মিশিয়ে দিনে ২ বার এভাবে ১ মাস খেলে উপকার হবে।